বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ২০২৫
আপনি কি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। কারণ আমরা আজকের ব্লগ পোস্টে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোন গুলো তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বর্তমান সময়ে বা ২০২৫ সালে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সব থেকে ডিমান্ডেবল ক্ষেত্র হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু জনপ্রিয় বিষয় আছে যে কাজ গুলো করে আপনি চাইলে ঘরে বসে ইনকাম শুরু করতে পারেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনাকে কাজ শুরু করতে হলে ধৈর্য ও আগ্রহের সাথে কাজ করে যেতে হবে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র.
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?
বর্তমান সময়ে ফিন্যান্সিং কাজ এর অনেক বেশি ডিমান্ড ও জনপ্রিয় রয়েছে । সারা বিশ্বের প্রায়ই অনেক দেশের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে নিজে স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ে তোলছে। এখনকার সময়ে অধিকাংশ মানুষ এই পেশার দিকে ঝুঁকছে পড়েছে। কারণ এই পেশারটিতে কাজ করার নিজস্ব স্বাধীনতা আছে অর্থাৎ সম্পূর্ণ মুক্ত এবং স্বাধীন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করা যায়। তাই অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এটি এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেখানে ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে, অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকেই বুঝায়। যা সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে, আবার হতে পারে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
বিশ্ব যত বেশি উন্নত হচ্ছে বা সামনের দিকে এগোচ্ছে মানুষ তত বেশি অনলাইনে এর মধ্যে ঢুকে পড়ছে। এতে করে আপনি যদি চান ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার সকলের মাঝে পৌঁছে দিতে পারেন। এভাবে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রচারণা বা মার্কেটিং করে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর আরও সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সেক্টর গুলো হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং বা রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও মেকিং সবগুলো আলাদা আলাদা কনটেন্টের কাজ করে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। তবে এই সেক্টরের সময় ও কাজ ভেদে আলাদা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হল,
- এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- এস ইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটি
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ইমেল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়াও বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিং ডিমান্ডেবল সেক্টর
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরও কিছু ডিমান্ডেবল সেক্টর রয়েছে। যে গুলোর মাধ্যমে অনেকেই কাজ করে ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। নিচে সেক্টর গুলোর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল-
আর্টিকেল রাইটিং: বর্তমানে আর্টিকেল রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং এর একটি অন্যতম ও ডিমান্ডেবল সেক্টর হিসেবে পরিচিত। আর্টিকেল রাইটিং করে মানুষ গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে। আপনারা যদি আর্টিকেল রাইটিং এর উপর অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে সুন্দর ও সাজিয়ে গুছিয়ে আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন সেক্টরটি বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডেবল হয়ে উঠেছে। ওয়েব ডেভেলপারগুলি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, ই-কমার্স সাইট, ব্লগ, এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রজেক্টগুলো তৈরি এবং উন্নতি করতে সক্ষম থাকতে পারে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন: বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর গুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স, ব্যানার তৈরি, লোগো ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, এনিমেশন এবং ভিডিও সম্পাদনা সহ বিভিন্ন সৃষ্টির ডিজাইন করতে হতে পারে। গ্রাফিক্স ডিজাইন করেও আপনারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি জনপ্রিয় মুক্ত পেশা। মূলত চাকরি আর ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যকার প্রধান পার্থক্য হচ্ছে ডিউটি করার সময় ও জয়াগা। অর্থাৎ আপনি যদি কোন চাকরি করতে যান তাহলে আপনাকে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ডিউটি করতে হবে এবং নির্দিষ্ট জায়গায় যে কাজ করতে হবে।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কোন ধরনের টাইম লিমিট থাকে না। আপনি চাইলে আপনার নিজের পছন্দ অনুযায়ী ঘরে বসে থেকে আপনার সময়মত কাজ করতে পারবেন বা নিজের কাজ করার স্বাধীনতা থাকে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং ফ্রিল্যান্সিং বলতে সহজ ভাবে বোঝানো হয় অনলাইনে কাজ করার মাধ্যম যেখান থেকে আপনারা চাইলে ঘরে বসে থেকে খুব সহজে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
মূলত অনলাইনে যে কাজগুলো পাওয়া যায় সে কাজগুলো সম্পূর্ণ করে টাকা উপার্জন করার মাধ্যমকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে না কাজ করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন ইনকাম বলা হয়।
বর্তমান সমাজে ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি দ্বারা একটি পজিটিভ পরিবেশ বিরাজ করছে। কারণ চুক্তিভিত্তিক কাজ করার একমাত্র এই পেশায় নিজের বস নিজেই হতে পারবেন বা হওয়া যায়। আর এভাবে আপনাকে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল হতে হবে না। অনলাইন কাজের দক্ষতা অর্জন করে তা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
মোটকথা হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং পেশার জন্য আপনি দেশি-বিদেশি অনেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন যা আপনার দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে ও নতুন কিছু শিখতে সহায়তা করে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস তালিকা গুলো হচ্ছে Fiverr, Upwork, Freelancer, People Per Hour, Guru, 99 Designs, Dribble, Simply Hired, Aquent, Toptal, Solution Inn.com ও Elance. যে মার্কেটপ্লেস যত বেশি বড় হবে সেই মার্কেটপ্লেসে তত বেশি কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি ফিন্যান্সিং পেশায় নিয়োজিত হতে চান সর্ব প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনার একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
মূলত অনলাইন প্লাটফর্ম মার্কেটপ্লেস হচ্ছে যেখানে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লাইন্ট একে অপরের সাথে মিলিত হতে পারে। মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্ট তার কাজের বিবরণ পেশ করেন এবং মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের কাজ দেখে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সারেরা কাজটি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
Fiverr: বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইবার। ফাইবারের জনপ্রিয়তা লাভের প্রধান কারণ হচ্ছে এখানে নতুন ফ্রিল্যান্সিং বিশেষভাবে সুযোগ প্রদান করা হয়। আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন ফাইবার আপনার জন্য বেস্ট অপশন হতে পারে। কারণ এখানে ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে প্রায় সকল ধরনের অনলাইন ইনকামের কাজ পাওয়া যায়। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজ গুলো পারেন সে কাজগুলো আপনার প্রোফাইলে যুক্ত করে গিগ পাবলিশ করতে পারেন। এতে করে ক্লাইন্টরা নিজে থেকেই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজজ খুঁজে অর্ডার করতে পারবে।
Upwork: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর ভিতরে সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলো Upwork, আপওয়ার্ক এর পূর্ব নাম ছিল ওডেস্ক। ওডেক্স নাম পরিবর্তন করে ২০১৫ সালে আপওয়ার্ক রাখা হয়। এটি মূলত সব থেকে বেশি সিকিউর এবং প্রফেশনাল। আপওয়ার্কে প্রফেশনাল বায়ার বেশি থাকে এতে করে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর অল্প কাজ জানেন তাহলে আপনার জন্য আপওয়ার্ক কাজ করা অনেক সুবিধা জনক।
আপওয়ার্কে ছোট বড় সব ধরনের প্রোজেক্ট পাওয়া যায়। আপনি যদি অনলাইনে আয় করা যায় এমন যে কোন বিষয়ে খুব ভালো দক্ষ হন তাহলে আপওয়ার্ক আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। তাছাড়া আপওয়ার্কে আপনার নিজের কাজ খুঁজে সেখানে কানেক্ট এর মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করতে হয়। আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে প্রোজেক্ট নির্ভর এবং ঘণ্টা নির্ভর কাজ পাওয়া যায়। প্রোজেক্টের উপর নির্ভর প্রোজেক্ট ভিত্তিক জবে আপনি এককালীন চার্জ নিতে পারবেন অন্যদিকে ঘণ্টাভিত্তিক কাজে আপনার ঘণ্টাভিত্তিক নির্দিষ্ট রেটে পেমেন্ট করা হবে।
Freelancer.com: হাজার হাজার মার্কেটপ্লেসের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার ডট কম। এটি অনেক পুরাতন মার্কেটপ্লেস এবং এখানে ফাইভার ও আপওয়ার্ক এর থেকে তুলনামূলক ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কম থাকেে। এই প্লাটফর্মে ১৮০০ টির অধিক ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটেগরি আছে। এই মার্কেটপ্লেসে সর্বমোট 10,000,000 এরও বেশি জব পোস্ট করা আছে। বিগত ১৫ বছর ধরে Freelancer.com সফলতার সাথে সারাবিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের সহায়তা করে আসছে।
এছাড়াও এখানে ফাইভার ও আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসের মত ফিক্সড এবং ঘণ্টা ভিত্তিক কাজ পাওয়া যায়। তবে Freelancer.com এর আরও একটি ভালো এবং সম্ভাবনাময় দিক হচ্ছে এখানে কন্টেস্ট আয়োজন করা হয়। কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করা ফ্রিল্যান্সারগুলোর মধ্যে বায়ার যার কাজ পছন্দ করে সে বিজয়ী হয় এবং প্রাইজমানি হিসেবে পুরো প্রজেক্টের পেমেন্ট পাওয়া যায় ।
People Per Hour: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর ভিতরে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলো People Per Hour বা PPH। এটি মূলত ২০০৭ সালে প্রথম তাদের যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত পিপিএইচ সাফল্যের সাথে তাদের রেপুটেশন ধরে রেখেছে ও ফ্রিল্যান্সাররা এখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে । বর্তমানে এর সংগ্রহে তিন মিলিয়নের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এখানে প্রায় সব ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। People Per Hour.com এই ওয়েবসাইটটির একটি অন্যতম দিক হচ্ছে আপনি আপনার নিজের সার্ভিস নিজেই বিক্রি করতে পারবেন। এই মার্কেটপ্লেসটিতে আপনি ক্লায়েন্টের পোস্ট করা কাজে এপ্লাই করার পাশাপাশি নিজের সার্ভিস নিজেই বিক্রি করতে পারবেন।
99 Designs: ৯৯ ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং ডিজাইনারদের জন্য স্বর্গ বলা হয়ে থাকে। মূলত এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইট শুধু ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করা জন্য অন্য ক্যাটাগরির ফ্রিল্যান্সার আসে না। এখানে ওয়েবপেজ ডিজাইন, ব্যানার তৈরি লোগো ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, বুক কভার ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ডিজাইন এবং প্রোডাক্ট প্যাকেজিং সহ অন্যান্য গ্রাফিক্স রিলেটেড কাজ পাওয়া যায়।
মূলত 99 Designs মার্কেটপ্লেসে বায়ার তার কেমন ডিজাইন লাগবে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জব পোস্ট করে। সেখানে উক্ত বিবরণ অনুসরণ করে ডিজাইনারগন ডিজাইন সাবমিট করে। সাবমিট করা ফাইল থেকে যার ডিজাইন বায়ার পছন্দ করবে শুধু সে পেমেন্ট পাবে। আর বাকি যারা সাবমিট করেছে তারা কোনো পেমেন্ট পাবে না। অর্থাৎ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে 99 Designs মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে হয়।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
ফ্রিল্যান্সিং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কথা বললে প্রথমেই বলা যায় এটি আরও বিস্তৃত এবং বর্তমান এর তুলনায় বেশি জনপ্রিয় হবে। প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং কর্মজীবনে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং আরও বেশি করে মূলধারার পেশায় পরিণত হচ্ছে। নিচে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি এবং ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
বেকারত্ব দূরীকরণ: বর্তমান সময়ে বেকারত্বের হার একটি উদ্বেগজনক বিষয়। ফ্রিল্যান্সিং এই সমস্যা সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী ঘরে বসে ঠেকে উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে এবং বেকারত্বের মত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে নিজের উত্তরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন: ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।ভবিষ্যৎ এ বৈদেশিক মুর্দা অর্জন তুলনামূলক আরো বাড়বে বলে আশা করা যায়। কারণ যতদিন যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ফ্রিল্যান্সিং পেশার দিকে মানুষ আরো অগ্রসর হচ্ছে।
সীমাহীন আয়ের সুযোগ: ফ্রিল্যান্সিং পেশার মাধ্যমে মানুষ সীমাহীন আয়ের সুযোগ পেয়ে থাকে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর কোন ধরনের মাস ভিত্তিক বেতন থাকে না। এখানে মানুষ যত বেশি কাজ করতে পারবে তত বেশি আয় করা সম্ভব হয়।
মুক্তপেশা: ফ্রিল্যান্সিং নিজের ঘরে বসে থেকে, পার্সোনাল কম্পিউটার বা ল্যাপটপেই ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনি নিজের স্কিলসেট সেল করে কাজ শুরু করতে পারবেন। ধরাবাধা কোন অফিস টাইম নেই যার ফলে মানুষের স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ হয়।
প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি: ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দেশের তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন হয় যেমন কম্পিউটার চালানো , ইন্টারনেট ব্রাউজিং ব্যবহার ইত্যাদি।
আইটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট: ফ্রিল্যান্সিং শেখার মাধ্যমে মানুষের আইটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। কারণ বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা থাকার কারণে একশ্রেণীর তরুণ নিজের দক্ষ করতে অনলাইন ও অফলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং , গ্রাফিক ডিজাইন , ওয়েব ডিজাইন , ভিডিও এডিটিং এর মত কোর্স করছে। যার ফলে ফিন্যান্সিংয়ে ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কোন বিষয়গুলো বেশি ডিমান্ডেবল আপনাকে আগে সে বিষয়গুলোর সম্পর্কে অবগত হতে হবে। তাহলেই আপনি অনলাইনে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলোর নিচে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল-
লক্ষ্য (Goal) সঠিক ভাবে সেট করুন - প্রথমে আপনাকে আপনার লক্ষ (Goal) সঠিক ভাবে নির্ধারণ করে নিতে হবে। যেমন, আপনি এই মাধ্যমে কি কাজ করতে চান ? কতটুকু সময় দিতে পারবেন ? আপনি কি চাকরির সাথে এই কাজ করতে চান না পার্ট-টাইম ইনকাম করবেন? না আপনি ফুল টাইম ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন। এসব বিষয় গুলো আপনাকে আগে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
কোন বিষয় (niche) নিয়ে কাজ করবেন - আপনার নিজের লক্ষ নির্ধারণ করার কাজের টপিক, সাবজেক্ট বা niche কি হবে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। আপনি যে কোন একটি বিষয় নিয়ে কাজ খুঁজতে ও করতে পারবেন। যেমন, এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,কনটেন্ট মার্কেটিং,ভিডিও মার্কেটিং ,এফিলিয়েট মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও আর্টিকেল রাইটিং আরো অনেক কাজ নিয়ে আপনি শুরু করতে পারবেন।
তবে আপনি যেই niche বা টপিক নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ভাবছেন, সেই বিষয় বেছে নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জেনে তারপর কাজ শুরু করবেন-
- আপনার বেছে নেওয়ার টপিক এমন হতে হবে যে বিষয়ের উপর আপনার পুরো অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং জ্ঞান রয়েছে।
- আপনি যে niche বা টপিক নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ভাবছেন, সেই niche এর মার্কেটে কতটা প্রয়োজন এবং চাহিদা আছে সেটা জেনে কাজ শুরু করতে হবে।
- এমন বিষয় বা niche নিয়ে কাজ করতে হবে, যেই বিষয়ে আপনার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। যেন পরবর্তী সময়ে আপনি ধৈর্য সহকারে কাজ করতে পারেন। আর কাজের প্রতি আপনি যেন বিরক্তি বোধ না করেন অনেক সময় ধরে কাজ করতে পারেন।
কোন কোন freelancing platform বা site এ কাজ করবেন- ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন freelancing সাইট বা মার্কেটপ্লেস আপনাকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যাতে করে ক্লাইন্টরা আপনাকে ভালোভাবে চিনতে পারে এবং আপনার কাজগুলোর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে।
এই ধরণের সাইট গুলিতে বিভিন্ন employer বা clients রা বিভিন্ন ধরণের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খুজেঁন। এবং ফ্রিল্যান্সাররা নতুন নতুন কাজ খোঁজার জন্য এই সাইট গুলিকে ব্যবহার করেন। এবং আপনি যদি প্রথমেই নিজের ক্লায়েন্ট (client) এর জন্য সময় মতো ভালো ভাবে কাজ করে দিতে পারেন, তাহলে আপনার ক্যারিয়ারে এ অনেক ভালো প্রভাব ফেলবে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি-শেষ মন্তব্য
উপরে উল্লেখিত ব্লগ পোস্টেের মাধ্যমে সহজেই জানতে পারলেন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সে সম্পর্কে। আপনারা যারা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোন গুলো জেনে ফ্রিল্যান্সিং করেতে চান আশাকরি ব্লগ পোস্টটি পরলে উপকৃত হবেন।
আজকের ব্লগ পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকলে এই পোস্টের নিচে দেওয়া মন্তব্য বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর এইরকম আরো অনেক তথ্য বহুল নতুন নতুন ব্লগ পোস্ট পড়তে হলে এই ওয়েব সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url